শিশুদের মানসিক বিকাশ করণীয় ১০


শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য লেখা-পড়ার পাশাপাশি অনন্দ বিনোদন ও প্রয়োজন। শিশু লেখা-পড়ার মধ্য আনন্দ না পেলে সেই শিক্ষা তার কাছে ভাললাগেনা, ফলে সে ধীরে ধীরে শিক্ষার প্রতি আনন্দ হারিয়ে ফেলে। একসময় সে আর বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেননা। তাই আমাদের উচিত তাদেরকে আনন্দদানের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া।

পোস্ট সূচিপত্রঃ 

শিশুদের মানসিক বিকাশে আনন্দ বিনোদন

শিশুরা সব সময় কমলমতি হয়। হাসি-খুশি থাকতে ভালবাসে। তারা সবসময় চায় আনন্দে থাকতে। তাই আনন্দ বিনোদনই শিশুদের মানষিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিশুদের বলা হয় ফুলের মত পবিত্র। তাদেরকে যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা ঠিক সেভাবেই বড় হবে। তাদের কে আনন্দের মাধ্যমে সব কিছু শিখাতে হবে।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক মায়েরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা তাদের সন্তানদের দেখভাল ঠিকমত করে না। ফলে শিশুটি বড় হতে থাকে অবহেলায়, তার ইচ্ছামত। তার মানসিক বিকাশ বাধাঁগ্রস্থ হয়। সে ধিরে ধিরে সব কাজের মধ্যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম


শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলা-ধূলা

শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের জন্য  খেলা-ধূলা বড় ভূমিকা পালন করে। খেলা-ধূলা করলে যেমন শারীরিক বিকাশ হয়, তেমনি মানসিক বিকাশও হয়ে থাকে। শিশুরা খেলা-ধূলার সময় অন্যান্য চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে ধাকে। ফলে তারা বিভন্ন ধরনের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকে। 

আজকাল অনেক শিশুরাই মোবাইলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা তাদেরকে খেলা-ধূলার প্রতি আগ্রহী করে ‍তুলতে পারছিনা।  যে সময়টা একজন শিশুর খেলতে যাওয়ার কথা সে সময়টা সে মোবাইলের পিছনে ব্যয় করছে। আমাদের উচিৎ তাদের কে নিয়মিত খেলা-ধূলা সহ বিভিন্ন চিত্র বিনোদনের সু-ব্যবস্থা করে দেওয়া। 

শিশুদের মানসিক বিকাশে মা-বাবার ভূমিকা

সমাজিক বিজ্ঞানিরা বলেন “শিশুর সমাজিকী করণের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে পরিবার”। আর এই পরিবারের মূল ভিক্তি হচ্ছে মা-বাবা। শিশুরা সর্বপ্রথম তার মা-বাবার কাছ থেকে শিখে। তাই আমরা যদি আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশ চাই তাহলে আমাদেরকে শিশুদের সাময় দিতে হবে। তাদের চাহিদা জানতে হবে। তাদেরকে ভাল এবং মন্দের পার্থক্য বোঝাতে হবে।

শিখাতে হবে আদব-কায়দা, আচার আচরণ এবং সাস্থ্য সর্ম্পকে সচেতন করতে হবে। একজন শিশুকে তার মা-বাবাই পারে সুন্দর করে গড়ে তুলতে। শিশুরা হচ্ছে কাঁদা মাটির মত তাকে আপনি যে শেপে গড়তে চান সে সেই সেপেই গড়ে উঠবে। তাই আমরা যদি আমাদের শিশুদের ভাল চাই শিশুদেরকে মানুষের মত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।  

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে ইনকাম করুন খুব সহজে


শিশুদের মানসিক বিকাশে সমাজের ভূমিকা

মানুষ সমাজিক জীব। মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না মানুষ ও তেমনি সমাজ ছাড়া বাঁচতে পারেনা। তাই শিশুর মানসিক বিকাশে সমাজের ভূমিকা অপরিসিম। শিশুরা অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে। তারা দেখে দেখে শিখে। তারা শিখে তার চারপাশের মানুষ জন েএবং তার খেলার সাথি ও পড়ার সাথিদের কাছ থেকে। 


কথায় আছে “সত সঙ্গে স্বর্গবাস অসথ  সঙ্গে সর্বনাশ” অনেক সচেতন মা-বাবাকে দেখেছি তারা পরিবেশ ভাল না বলে সন্তানদের ভালোর জন্য এলাকা পরির্বত করতে। যেহেতু শিশুরা তার চারপাশের পরিবেশ থেকে শিখে তাই ভাল সমাজিক পরিবেশে থাকলে শিশু ভাল শিখবে আর খারাপ পরিবেশে থাকলে শিশু খারাপ কিছু শিখবে েএটাই তো স্বাভাবিক তাই না।

শিশুদের মানসিক বিকাশে পরিবারের ভূমিকা
আমরা আগেই জেনেছি শিশুর সমাজিকীকরণের মূল মাধ্যম হচ্ছে পরিবার। পরিবার আবার দুই ধরনের হয়। যৌথ পরিবার এবং একক পরিবার। যৌথ পরিবারে থাকে দাদা-দাদি, মা-বাবা, ভাই-বোন, চাচা-চাছি, ফূপু। একক পরিবারে থাকে বাবা মা-বাবা এবং ভাই বোন। সাধালণত আমদের দেশে যারা গ্রামে বাস করে তারা যৌথ পরিবারে বাস করে।

শহরের পরিবারগুলো সাধারণত যৌথ পরিবার হয়ে থাকে। 

বিভন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী বানিযে ইনকাম 

অনেকে আছেন যারা উপহার সামগ্রীতে হাতে করা ডিজাইন পছন্দ করেন। যেমন- নাম বা ছবি দিয়ে ডিজাইন করা। আপনি যদি ভাল ডিজাইন করতে পারেন তাহলে এটিও হতে পারে আপনার জন্য অর্থ উপার্জনের একটি পথ। আপনি কলম,ডাইরি, মগ, মোবাইল ফোনের কভার ইত্যাদির উপর পছন্দ মাফিক ডিজাইন করে অর্থ ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আপনার প্রয়োজন হবে আর্ট করার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী।

আপনি এই ধরনের উপহার সামগ্রীর প্রচারের জন্য ফেসবুক,টুইটার,ইনষ্টগ্রাম ইত্যাদি সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে ভাল দামে বিক্রির সুযোগ তৈরি করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন ভাল টাকা। আপনার কাজকরা এসব জিনিষপত্র আপনি সমাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মগুলোতে প্রচার করতে পারেন।

দর্জির কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম

বর্তমানে সকল মেয়েদের জন্য দর্জির কাজের মত সুবিধাজনক আর কোন কাজ নাই বললেই চলে। আপনি যদি সামান্যতম ও লেখা-পড়া জানেন তাহলে আপনি সহজেিই এই কাজ শিখতে পারেন। এইজন্য আপনার প্রযোজন হবে একটি সেলাইযের মেশিন এবং কয়েক মাসের প্রশিক্ষণ। টিটিসি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান মেয়েদের এই ধরনের কোর্স স্বল্প কোর্স ফি বা বিনা মূল্যে করিয়ে থাকে।


আপনি চাইলেই এই ধরনের কোর্স করে শুরু করতে পারেন আপনার ইনকামের পথ। আজকাল অনেক মেয়েরা পাড়া মহল্লায় তাদের নিজ বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন সাধন করেছেন। আপনি যদি কোন একটি পোশাক দেখে ঐ ধরনের পোশাক তৈরি একবার শিখে যান তাহলে আপনাকে আর পেছনফিরে তাকাতে হবেনা। তাই আপনিও চাইলেই পারেন আপনার অর্ধ ইনকামের পথ সুগম করতে।   

মুরগীর খামার করে ঘরে বসে ইনকাম

শহর বা গ্রামে যাদের বাড়ীর আসে পাশে ফাঁকা জায়গা আছে তারা ইচ্ছা করলেই পারেন মুরগীর খামার করতে। প্রথমে খুব বড় করে না করে অল্প কিছু দিয়ে শুরু করুন। তারপর আস্তে আস্তে বড় করুন। নিয়মিত পরিচর্চা করলে ও সময়মত ভ্যকসিন দিলে মুরগির রোগ বালাইয়ের হাাত থেকে রক্ষা করা যায়। খামার থেকে ডিম, বাচ্চা ও মুরগী বিক্রি করে আপনি মাস শেষে একটি ভাল ইনাকাম করতে পারেন।

বর্তমানে অনেকে দেশী মুরগীর খামার করে ভাল টাকা ইনকাম করছেন। আপনার সংসারের কাজের পাশা-পাশি আপনিও চাইলেই পারেন খুব সহেজে এই ধরনের কাজ করে মাস শেষে ভাল টাকা ইনকাম করতে। এই জন্য আপনার প্রধমেই প্রয়োজন হবে খামারের জন্য জায়গা নির্বাচন করা। খমারের জন্য মাচা দেওয়া উচুঁ জয়গা তৈরি করতে হবে যেখানে সবসময় ‍নিয়মিত আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে ।


পশুপালন করে ঘরে বসে ইনকাম

আপনার বাড়িতে যদি সামান্যতম জায়গা থাকে তাহলে আপনিও পারেন অন্যদের মত ছাগল বা ভেঁড়া পালন করে ঘরে বসে ইনকাম করতে। ছাগল বা ভেঁড়া পালন করতে বেশী জায়গার প্রয়োজন হয়না । কুরবানির ঈদের হাঁটে ছাগল ও ভেঁড়ার প্রচুর চাহিদা থাকে। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি সহজেই পশুপালন করে ইনকাম করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে গ্রামের হাঁট থেকে ছাগলের ছোট বাচ্চা কিনে এনে এক থেকে দুই বছর পরির্চচা করে বছরের নিদিষ্ট সময়ে বিক্রি করে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আবার ছাগলের দুধে আছে খুব উচ্চমানের প্রোটিন যা দিয়ে আপনি বাড়ির ছোটদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। ছাগলের খাবার আসবে আপনার বাড়ির প্রতিদিনের তরু তরকারি কাটার পর যে উছিষ্ট ফেলেদেন তা থেকে। এর সাথে কিছু আউর,খৈল এবং ভূসি যা আপনার এলাকার দোকানগুলোতে পাবেন।

হস্তশিল্পের কাজ করে ইনকাম

অনেক মেয়েরা হাতের কাজ করা কামিজ বা শাড়ী পছন্দ করে। আবার অনেকে আছেন নকঁশিকাথা, শিতলপাটি, হাতে কাজকরা হাতপাখা, হাতে বোনা টুপি, জায়নামাজ ইত্যদি হাতের তৈরি জিনিস পছন্দ করেন। আপনার যদি এই ধরনের কোন হাতের কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে, কিছু দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও এই ধরনের কাজ করে বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারেন। এইজন্য আপনার বেশী জায়গা দরকার হবে না।

ঘরের এক কোনায় একটি টেবিল ও সেলাইয়ের মেশিন ও হতের কাজ করার জন্য সরঞ্জাম কিনে খুব সহজে আপনিও এই ধরনের কাজ করে ঘরে বসে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও কামিজে লেস লাগানো, জরি বুটিকের কাজ ইত্যাদি কাজ করেও আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যা ‍আপনার সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে পারে।

    পরিশেষে আমার মতামতঃ

ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করতে হয় আমরা সে বিষয়ে জানলাম। তবে ঘরে বসে আপনি যে কাজ করে ইনকাম করতে চান প্রথমত সে বিষয়ের প্রতি আপনার ধারনা এবং শখ খাকতে হবে। আমরা অনেক সময় অন্যের দেখা-দেখি তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করি। পরে কিছুদিন সেইকাজ করারপর আর ভালোলাগে না ফলে সেই কাজ মাঝ পথে থেমে যায়। তাই আমার মতামত, প্রথমে দেখুন কোন কাজ করতে আপনার আনন্দ লাগে। হুজুগে বাঙালী হবেন না। অন্যনের কাছে যে কাজ ভাল লাগে তা আপনার কাছে ভাল না ও লাগতে পারে। তবে আমার মনে হয়, আপনার যদি কম্পিউটার সর্ম্পকে নূনতম ধারনা থাকে তাহলে বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আপনি ”ডিজিটাল মার্কেটিং” শিখে ঘরে বসে আয় করতে পারেন খুব সহজে।

পাঠক, পরিশেষে বলতে চাই আমার এই লেখা পড়ে আপনার যদি সামান্যতম উপকার হয় তাহলে আমার কষ্ট সার্থক হবে বলে আমি মনে করি। কোন মতামত থাকলে লিখতে পারেন নিচের কমেনন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url